শীতের আগমনী বার্তায় নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবই বিল আবারও মুখরিত হয়ে উঠেছে হাজারো অতিথি পাখির কলতানে। উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন এই বিল প্রতি শীতেই হয়ে ওঠে দেশি-বিদেশি পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ষার পানি কমতে শুরু করলেই জবই বিলের চারপাশে সৃষ্টি হয় পাখিদের অনুকূল পরিবেশ। পানির নিচ থেকে জেগে ওঠা ফসলি জমিতে ছোট মাছ, শামুক ও পোকামাকড়ের প্রাচুর্য থাকায় শীত মৌসুমে নানা প্রজাতির পাখির আগমন বাড়ে কয়েকগুণ। ফলে পুরো বিলজুড়ে প্রতিদিন ভেসে আসে কিচিরমিচির ও কলতানের সুর।
জবই বিল ও পার্শ্ববর্তী পুনর্ভবা নদীর জলাভূমিতে প্রতিদিন ঝাঁক বেঁধে উড়াউড়ি করছে শামুকখোল, সাদা বক, বালিহাঁস, চাহা, রাজহাঁস, পাতি সরালীসহ বহু পরিচিত–অপরিচিত অতিথি পাখি। পাখিদের প্রধান খাবার ছোট মাছ ও শামুকের প্রাচুর্য হওয়ায় শীতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাড়ে পাখির সংখ্যা।
জবই বিল জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি সোহানুর রহমান সবুজ জানান, বর্তমানে বিলে পাতি সরালি, লাল ঝুটি ভুতিহাস, গিরিয়া হাঁস, তিলি হাঁস, টিকি হাঁস, পিয়াং হাঁস, ঠেঙ্গি হাঁস, চা পাখি, বেগুনী বক, বাজলা বক, শামুখখোল, মাছ মুরাল, সাপ পাখি, চখা-চখি সহ বিরল কয়েকটি প্রজাতির পাখির আনাগোনা বাড়ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই পুরো বিলজুড়ে পাখির সমাহার আরও ঘন হবে বলে আশা করছেন তিনি।
তাদের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, জবই বিলে মোট ৪৪ প্রজাতির পাখি রয়েছে, এর মধ্যে ২৬ ধরনের পরিযায়ী ও ১৮ ধরনের দেশি প্রজাতি। পাখির মোট সংখ্যা ধরা হয়েছে প্রায় ২ হাজার ২৫৮টি। আগের বছর যেখানে সংখ্যা ছিল প্রায় ১১ হাজার। বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রজাতি বাড়লেও মোট সংখ্যা কমেছে।
প্রকৃতিপ্রেমীরা বলছেন, বর্ষার শেষে পানি কমতে শুরু করলে বিলে খাবারের সরবরাহ বাড়ে। আর এ কারণেই প্রতি বছর শীতের শুরুতেই পাখির ঝাঁকে ঝাঁকে আগমন। তারা আরও জানান, শিকারির হাত থেকে পাখিদের নিরাপদ রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কার্যকর নজরদারি প্রয়োজন।
অন্যদিকে, জবই বিলকে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিবেশবান্ধব পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি পাখিদের সারা বছর নিরাপদ আবাস নিশ্চিত করতে বিলের একটি অংশকে সরকারি উদ্যোগে সংরক্ষিত এলাকা বা অভয়ারণ্য ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন দর্শনার্থী ও পাখিপ্রেমীরা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ষার পানি কমতে শুরু করলেই জবই বিলের চারপাশে সৃষ্টি হয় পাখিদের অনুকূল পরিবেশ। পানির নিচ থেকে জেগে ওঠা ফসলি জমিতে ছোট মাছ, শামুক ও পোকামাকড়ের প্রাচুর্য থাকায় শীত মৌসুমে নানা প্রজাতির পাখির আগমন বাড়ে কয়েকগুণ। ফলে পুরো বিলজুড়ে প্রতিদিন ভেসে আসে কিচিরমিচির ও কলতানের সুর।
জবই বিল ও পার্শ্ববর্তী পুনর্ভবা নদীর জলাভূমিতে প্রতিদিন ঝাঁক বেঁধে উড়াউড়ি করছে শামুকখোল, সাদা বক, বালিহাঁস, চাহা, রাজহাঁস, পাতি সরালীসহ বহু পরিচিত–অপরিচিত অতিথি পাখি। পাখিদের প্রধান খাবার ছোট মাছ ও শামুকের প্রাচুর্য হওয়ায় শীতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাড়ে পাখির সংখ্যা।
জবই বিল জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি সোহানুর রহমান সবুজ জানান, বর্তমানে বিলে পাতি সরালি, লাল ঝুটি ভুতিহাস, গিরিয়া হাঁস, তিলি হাঁস, টিকি হাঁস, পিয়াং হাঁস, ঠেঙ্গি হাঁস, চা পাখি, বেগুনী বক, বাজলা বক, শামুখখোল, মাছ মুরাল, সাপ পাখি, চখা-চখি সহ বিরল কয়েকটি প্রজাতির পাখির আনাগোনা বাড়ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই পুরো বিলজুড়ে পাখির সমাহার আরও ঘন হবে বলে আশা করছেন তিনি।
তাদের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, জবই বিলে মোট ৪৪ প্রজাতির পাখি রয়েছে, এর মধ্যে ২৬ ধরনের পরিযায়ী ও ১৮ ধরনের দেশি প্রজাতি। পাখির মোট সংখ্যা ধরা হয়েছে প্রায় ২ হাজার ২৫৮টি। আগের বছর যেখানে সংখ্যা ছিল প্রায় ১১ হাজার। বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রজাতি বাড়লেও মোট সংখ্যা কমেছে।
প্রকৃতিপ্রেমীরা বলছেন, বর্ষার শেষে পানি কমতে শুরু করলে বিলে খাবারের সরবরাহ বাড়ে। আর এ কারণেই প্রতি বছর শীতের শুরুতেই পাখির ঝাঁকে ঝাঁকে আগমন। তারা আরও জানান, শিকারির হাত থেকে পাখিদের নিরাপদ রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কার্যকর নজরদারি প্রয়োজন।
অন্যদিকে, জবই বিলকে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিবেশবান্ধব পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি পাখিদের সারা বছর নিরাপদ আবাস নিশ্চিত করতে বিলের একটি অংশকে সরকারি উদ্যোগে সংরক্ষিত এলাকা বা অভয়ারণ্য ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন দর্শনার্থী ও পাখিপ্রেমীরা।
প্রতিনিধি :